রাফসান গালিব
পরাজিতের গল্প
ছিঁড়তে ছিঁড়তে ছিঁড়েই গেল সুতো
কষ্টগুলো বৃথাই গেলো
চোখ ফেটে জল এলো
উড়তে উড়তে ঘুড়িটা আর উড়লো না তো।
শূন্যে শূন্যে অশূন্যতায়
ইচ্ছাগুলোর ঝগড়া বাঁধায়
অবুঝ বালক রাতদুপুরে
ঢিলটা ছুড়ে মন অদূরে।
পড়তে পড়তে পাতালঘরে
ঢিলটা পীর সুরত ধরে
ডুবায় দেহ নদীর জলে
জড়ায় এ কোন ঊর্ণাজালে!
দেখতে দেখতে দক্ষিণাতে
উড়লো ঘুড়ি মেঘের সাথে
পক্ষী উড়ে ঘুড়ি উড়ে
উড়তে উড়তে অচিনপুরে।
অবুঝ বালক দাঁড়িয়ে থাকে
তেপান্তরের মাঝখানে
বুঝে বুঝে বুঝেনি তো
হারলো সে আজ কোন দানে।
অনুপদ্য -১
অন্ধকারে বীজ বুনো না
ফসল তুলতে হোঁচট খাবে,
বুনতে পারো স্বপ্ন তুমি
জাদুর প্রদীপ নাগাল পাবে!
আদি ঈশ্বর
যুগে যুগে কিংবদন্তীরা
হানা দেয় কালের অন্দরমহলে
কেড়ে নেয় সব নিরবতা
অনেতিহাসের প্রসব বেদনায়
চিৎকার করে অজাত শিশু
ঘুম ভাঙায় কালপুরুষের
আর চন্দ্রগ্রহণে
কপাট খোলে আদি ঈশ্বর।
পানকৌড়ি
দিন শহরে কুমারি হওয়া রাতগুলো
তিন প্রহরে বস্ত্র হারায় পোয়াতিঘরে
আনাড়ি সব ডেলিভারীতে উল্টে থাকা
জোৎস্নাকাল,
পানকৌড়ি হয়,
নষ্ট হওয়া জলটুকু সব পান করে।
অনুপদ্য -২
সরলরেখায় দিলাম দেয়াল
ওপারে থাক
এপারে আমার পা,
বিন্দুটিকে রাখিস খেয়াল।
No comments:
Post a Comment