অবস্বাদ চেতনাগুলো

ক বি তা

শহিদুল ইসলাম

 বিকেল বেলা দেড়শ বছরের পুরনো দালানের ছাদে
পায়চারি করতে করতে
রেলিং ধরে দাড়াঁতেই দেখতে পেলাম লোকটাকে।
আমি ডাকতেই দূরে বহু দূরে রাস্তায় মিলিয়ে গেল,
সাাত পেলাম না।
কিছুদিন পর পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়েছিলাম-
টানা চার ঘন্টায় এক ঘেয়েমি চলে এসেছিল,
পঁয়তাল্লিশ মিনিট আনমোনা আনাগোনা ডিসি হিলে-
উদ্দেশ্যহীন চিন্তার উদ্রেক নিয়ে।
হঠাৎ দেখতে পেলাম সেই লোকটাকে, স্বতর্স্ফুত হাসিচ্ছ্বটায়।
পাশের ঝুঁপড়িতে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দাঁিড়য়ে।
কাছে যেতেই তীহ্ম দৃষ্টি এড়িয়ে, উধাও লোকটি।
বলিভিয়া সরকারের অনুতাপ-মনোতাপ কেমন ছিল জানি না-
চে’কে নয়টি গুলি করে হত্যা করার পর।
পলাশীর যুদ্ধে ফরাসি সৈন্য সিনফ্রের কোন বিষাদ কাজ
করেছিল কিনা জানি না,
মীর জাফরের বিশ্বাস ঘাতকতায়, সিরাজ-উজ-দৌলার প নেওয়াতে।
অস্তিত্বের শিরায় শিরায় কোন অজানা উৎকণ্ঠায়
আমাকে জড়িয়ে ধরেছে জানি না,
অবস্বাদ-বিমর্ষে সুপ্ত চেতনাগুলো গুল্ম থেকে বেড়ে উঠছে না আজ আর।
ইতিহাসের হাজারো পাতায় খুঁজে ফিরি তাকে
অবস্বাদ নেপথ্যের অমলিন হাসিচ্ছ্বটা-
বিনিদ্র কোন রাতে যেমনটি খুঁজে ফিরি সেই লোকটাকে।
যান্ত্রিক জীবনের চেতনার যন্ত্রণা এমনি হয় মনে হয়।
বিবর্ণ-বিমর্ষের সভ্যতায়-
পূর্ণতার প্রতিচ্ছবি ভাস্মর হয় না এই পার্থিবতায়।

No comments:

Post a Comment

পাঠক সংখ্যা

free counters