অ নু গ দ্য

ইমরান সিফতি

কখনও
কখনও নিজেকে খুব একা মনে হয়। মনে হয় যেন কোন কিছুতেই নিজের কোন অস্তিত্ব নেই। নিজের কোন প্রয়োজন নেই। আবার কোন এক সময় এসে উপস্থিত হয় যখন ভাল লাগে। সবকিছুর মধ্যে ভাল লাগা থাকে। সবার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে ইচ্ছা হয়। সবাইকে কাছের মনে হয়। তখন নিজেকে মনে করলে, নিজেকে চিন্তা করলে খুব ভাল লাগে।
কিন্তু সবাই কি নিজের হয়? হয় না। কেউ মিশে, কেউ মিশে না। আবার কেউ কেউ কিছুদিন মিশে আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়। আমি আমার একলা ঘরে যখন রাত কাটাই, চোখ মেলে যখন বসে থাকি, তখন কেন জানি মনে চিন্তা আসে, কেউ হয়তোবা এসেছিল আমার সাথে মিশতে। আমাকে জানতে। কিন্তু হঠাৎ সে দূরে চলে গেল। আমার আর তাকে জানা হলো না। তাকে চিনতে পারলাম না। মনে হলো নিজেকে ব্যর্থ মানুষ। আসলেই ব্যর্থ।
আমি কার, আমি কার, কে কাহার, কে কাহার, কে জানে? কেউ কি জানে? জানে না। আমি জানি? হয়তোবা  জানি। হয়তোবা সে রাত...

পথ
জীবনের কিছুটা সময়, আবার বলতে গেলে অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম। শৈশবের সেই মধুর সময়টা পার হয়ে যাবার পর বাস্তবতার যে দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখছি, তা খুবই ভয়ংকর, বেদনা বিধূর, মর্মান্তিক। কেন? একটা শিশুকেই দেখি। একটা শিশু যে ফুটপাথে হামাগুড়ি দিয়েও বড় হয় আবার বেবী চেয়ারে পরম আদরেও বড় হয়। কিন্তু তারা শিশু। শিশুরা পবিত্র। তবে কেন এ শিশুরাই জর্জরিত? একজন শিশু, যার খাওয়ার কোন অভাব নেই। প্রতিনিয়ত অপচয় হচ্ছে। করছে। কিন্তু তারপরেও পাচ্ছে। কিন্তু আরেকটা শিশু যে একটা ভাতের দানা কুড়িয়ে খাচ্ছে, একটা রুটির জন্য টাকা ভিা চাচ্ছে- যা আমরা প্রতিনিয়ত অবলোকন করছি। কিন্তু না দেখার ভান করে পথ চলছি।
রাস্তায় এক প্রাইভেট ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম এক বন্ধুর অপোয়। হঠাৎ দেখলাম একটা শিশু ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্টুডেন্টদের কাছে গিয়ে তার দু’টি ছোট ছোট হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখনও সে ভাল করে কথাও বলতে পারে না। তার পাশে দাঁড়ানো বোনের কাছ থেকে দেখেই সে কাজটা করছে। বোনটার বয়সও ৪-৫ বছর। দুঃখের বিষয় হল রাস্তা দিয়ে গাড়িতে চড়ে এক শিশু বার্গার খেয়ে যাচ্ছে আর তার সমবয়সী আরেকটা শিশু হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। শুধুমাত্র ক্ষুধার জ্বালায়... কেন এমন হবে?...

No comments:

Post a Comment

পাঠক সংখ্যা

free counters